ইজরায়েলের বিমান হানায় বিধ্বস্ত গাজা, কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু
দেখতে দেখতে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল। কিন্তু ইজরায়েলের সঙ্গে প্যালেস্তাইনের সংঘর্ষ থামার যেন কোনও লক্ষণই নেই। এরই মধ্যে গাজা শহরের উপরে ইজরায়েলের বিমান হানায় অন্তত ২৬ জনের প্রাণ গেল রবিবার। জখম কমপক্ষে ৫০। এই হামলাকে মনে করা হচ্ছে গত কয়েকদিনের সংঘর্ষের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর।রবিবার ভোর থেকেই শুরু হয় বোমাবর্ষণ। গাজা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে আজকের হামলায় অন্তত ১০ জন মহিলা ও ৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হামলার পরে গোটা এলাকা কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। উদ্ধারকারী দলের একজনকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে চিৎকরা করতে দেখা যায়, কেউ আছেন? আমাকে শুনতে পাচ্ছেন? কিন্তু তিনি কারও সাড়াই পাচ্ছিলেন না। পরে একজন আহত ব্যক্তিকে সেখান থেকে বের করতে দেখা যায় তাঁকে। এই ছবিই বুঝিয়ে দেয় আক্রমণের ভয়াবহতা কতটা ছিল।ইজরায়েলের সেনার অবশ্য দাবি, আজকের আক্রমণে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে কয়েকজন শক্তিশালী হামাস নেতার ঘাঁটি। যার মধ্যে অন্যতম শীর্ষ হামাস নেতা ইয়াহিয়ে সিনওয়ারের বাড়ি। সব মিলিয়ে গত ২ দিনে এটি তৃতীয় হামলা। এখনও পর্যন্ত এই সংঘর্ষে অন্তত ১৮১ জন প্যালেস্তানির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩১ জন মহিলা ও ৫২ জন শিশু। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১২২৫। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইজরায়েলের ৮ জনের প্রাণ গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে একটি ৫ বছরের শিশুও।এই মৃত্যুমিছিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল বিশ্বের বহু দেশ। আজই মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই বিষয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। যদিও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই সব দোষ হামাসের উপরে চাপিয়ে দাবি করেছেন, এখানেই শেষ নয়। অপারেশন চলবে। এর শেষ দেখে ছাড়ব। এদিকে ইজিপ্টের এক কূটনীতিকের দাবি, তাঁদের দেশ আপ্রাণ চেষ্টা করছে যুদ্ধবিরতির জন্য ইজরায়েলকে রাজি করাতে। এনিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।